যদি নদীর তীরে নৌকা ডুবে যায়, পাল যায় ছিঁড়ে, ভেলা ভাসিয়ে দিও, লক্ষিন্দর এর ভিড়ে; যদি নীল আকাশ কালো হয়, মেঘে যায় ঢেকে; ছাতা হাতে দাড়িয়ে থেকো, সব কাজ রেখে; যদি লেখা বিলীন হয়ে যায়, যায় উড়িয়ে নিয়ে; নিজের হাতে লিখে নিও, আলতা মেহেদী দিয়ে; যদি সাঁজের প্রদীপ নিভে যায়, চাঁদ যায় ডুবে; কুপি বাতি …
আজও বাংলায় ফুল ফুটে, কাঁঠালের ঘ্রাণ, আমের মুকুল, আজও বৈশাখের বাতাসে, দোলে হাসনাহেনা ফুল। আজও ভোরের সকালে, প্রহেলিকায় ভেজা শিশির, আজও কলকাকলীতে, জমে বিহঙ্গের মেলার ভিড়। হাজার মাইলের দূরে থেকে, আমি পাই না, সবুজের স্পন্দন, পাই না আমি খুঁজে আজ, বাংলার গ্রাম জঙ্গলের বন…
Fading swiftly, the lost sounds; The silent night loses its imaginations. The leaves are gone, no more verdant shade; In yellow and red, they lifelessly wade. The ceaseless torrent of the dark rain, The stars submerged, forever lain. Nowhere is anyone, emptiness cries; As if someone repeatedly tries. Seems like a call to the endless …
Even today in Bangla, flowers bloom, The scent of jackfruit, the bud of mango, Even today in the breeze of Boishakh, The Hasnahena flower sways. Even today in the morning, Dewdrops drench the dawn, Even today in the chattering, The crowd of birds gathers. From a thousand miles away, I don’t feel the vibrancy of …
উৎসর্গঃ রিপন সাহা একটি চিঠি লিখবো তোকে অনেক দিন ভাবছি, মনে মনে চিঠির ভাষা নিয়ে কত রঙ ধারণা এঁকেছি। সেই কবে তোকে চিঠি দিয়েছিলাম তোর মনে আছে? চিঠিতে অব্যক্ত ভাষা ছিল, লেখা হয় নি তোর কাছে। আমার সেদিনের শিশুসুলভ মন, বলা হয় নি আসল কথা, বললে হয়তো, তোর শিশু সুলভ মনে হতো ক্ষোভ ব্যথা। তার …
আমিও ভালো থাকবো; সকালে শিশির ফোটা, রুপালি আলো, কুয়াশা ভেজা হিম। দূরের দ্বীপের মাঝে, ভেসে আসা সুর, আমিও ভালো থাকবো; বিদায়ের বেলা, যখন থমকে যায় ধরণী, শতদল নিমজ্জিত জলে, চোখের কোনায় জলরাশি, একটাই শব্দ, তুমি ভালো থেকো…. আমি ভালো আছি
অতঃপর, দিনে শেষে… সে এসে দাঁড়ায়… প্রদীপ নিভার শেষ সময়ে, হয়তো ক্ষণিকের অতিথি! চোখের কাজল কণা, চিকচিক করে, প্রদীপের শেষ আলোয়! অস্বস্তি ভুগা হাতদুটো, কাচুমুচু করে লুকায় আঁচলে… তবুও এসেছে সে, অন্যায় ন্যায়ের মাঝে এসে! আসলে কি তাই? আসা কি হয়? সে এসে দাঁড়ায় মূর্তি… দেহের মাঝে প্রাণ থাকা, দেহের মাঝেই বন্দিশালা, মন পাওয়া যে …
এই বাতাস ঝরে পড়ুক, কৃষ্ণচূড়ার তলে, কুয়াশার চাদর ভিজে যাক, পুবদীঘির জলে! এই চাঁদ আলোকিত হোক, তমোমণির আলোতে, সব প্রদীপ জ্বলে উঠুক, ছোট শিশুর ভালোতে। ভালোবাসা আজ হাতে হাত, অপেক্ষার শত প্রহর, ভালোবাসার প্রণয় শক্তিতে তাই , সব নির্বিষ হোক জহর!
ফেরা হয় নি বলে, এঁকেছিলে পন্থ; পন্থ ছিল পান্থবিহীন, সে কি জানতো? বলা হয় নি, এই মেঠো ধূ ধূ পথে, কার আশায়, কার অপেক্ষায় বৈশাখী ঝড়ে সব উড়িয়ে নিয়েছে; কত পাখি ফুলেল আশায় গেয়েছে….. তবুও ফুলেল কল্পনা পান্থে পারে নি কেউ ফিরিয়ে আনতে….
পূর্ণিমার চাঁদ যখন কাল মেঘে ঢেকে যায়, দূর আকাশে মেঘের ফাঁকে শুকতারা হারায়, চারিদিক অন্ধকার, নিশি কাল আঁধারে ঢাকা, যখন খুঁজে চোখ, চমকা আলোর ফালি আঁকা! দূর থেকে বহুদূরে, অস্পষ্ট কন্ঠে ডাহুকের ডাক অজানায় ভেসে যাওয়া হাহাকারের শব্দে কাক, কি জানি, কাকে জানি, তারা বারবার বলে যায়, ‘ভেসে যাওয়া স্মৃতির মাঝে, দুঃস্বপ্নও হারায়!’
